গুলশান-২, ঢাকা, বাংলাদেশ   Friday,03 May 2024

শুভ উদ্বোধন সিএইচআরডি, টাঙ্গাইল

about1

 

গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে টাঙ্গাইলের ছিলিমপুরে বুরো বাংলাদেশের ‘মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র-টাঙ্গাইল’-এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। বৃক্ষরোপণ, ফলক উন্মোচন এবং ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে বুরো বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন ও অন্য দুই প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এম মোশাররফ হোসেন ও মো. সিরাজুল ইসলাম যৌথভাবে মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন।

এই আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে সংস্থার সব পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, সব বিভাগীয় ও আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, প্রধান কার্যালয়ের শতাধিক কর্মী এবং টাঙ্গাইলের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিত ছিলেন। দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনে ‘ফিরে দেখা: বুরো টাঙ্গাইল থেকে বুরো বাংলাদেশ’ শিরোনামে দুই পর্বের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে সংস্থার প্রতিষ্ঠাকালীন ১৯ জন কর্মীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। শুভ উদ্বোধনকে আনন্দময় করতে আগের সন্ধ্যায় আতশবাজি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন ছিল।  

আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত বিশ্বমানের এই মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রটি পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষা ও গবেষণামূলক উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করার কথা জানানো হয়। দেশের জন্য উপযুক্ত মানবসম্পদ গড়ে তুলতে যথার্থ ভূমিকা রাখার উদ্দেশ্যে এটি বুরো বাংলাদেশের একটি উন্নয়ন প্রয়াস।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে প্রতিদিনই প্রত্যন্ত অঞ্চলের সদস্যদের সেবা দেওয়ার জন্য যাচ্ছে। তাদের এই অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সদস্যদের সার্ভিস চার্জের কন্ট্রিবিউশন দিয়ে আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে গণমানুষ, এনজিও ও কর্পোরেটদের জন্য এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করতে পেরেছি।’

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক-অর্থ এম মোশাররফ হোসেন মানবসম্পদ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, ‘দেশ ও সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূর করব- এটাই ছিল আমাদের স্বপ্ন। দারিদ্র্যের বহুমুখী রূপ আছে। এই রূপকে অতিক্রম করতে গেলে, যারা তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে সেই কর্মী বাহিনীর ধারাবাহিকভাবে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ জন্যই বুরো বাংলাদেশ মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করছে। শুধু বুরো বাংলাদেশের জন্য নয়, আমাদের এসব মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র সবার জন্য রিসোর্স সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।’

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন,  ‘আমরা শপথ নিয়েছিলাম, যতদিন এই প্রতিষ্ঠান না দাঁড়াচ্ছে, আমরা এই প্রতিষ্ঠান থেকে সরবো না, যেভাবেই পারি এই প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করাবই।’