৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু ওহঃবৎহধঃরড়হধষ এবৎসধহু-এর একটি প্রতিনিধি দল রংপুর অঞ্চলে বুরো বাংলাদেশের মৌলিক স্বাস্থ্যশিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন আন্তর্জাতিক এই সংস্থার প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর ইয়োটা ওয়েরমেল্ট এবং সংস্থাটির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ও জার্মান সংগীত শিল্পী আন্দ্রেস ডোমেনিক ওইস। তারা রংপুর অঞ্চলের শ্যামপুরহাট ও তাঁরাগঞ্জ শাখার তত্ত্বাবধানে মৌলিক স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রকল্পটির মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন এবং সেবা গ্রহণকারীদের সাথে তাদের অভিজ্ঞতা, শিখন ও এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।
পাঁচ দিনের পরিদর্শন শেষে ইয়োটা ওয়েরমেল্ট তার অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে সেবা গ্রহণকারীদের সাথে সরাসরি মতবিনিময়ের মাধ্যমে যে তথ্য ও ধারণা তিনি পেয়েছেন তা পরবর্তীতে এই প্রকল্পকে আরো সমৃদ্ধ করতে সহায়ক হবে। পাশাপাশি এই প্রকল্পের কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারী ও কিশোরীদের মধ্যে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত যে সচেতনতা ও এর চর্চা গড়ে উঠেছে তা দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। জার্মান সংগীত শিল্পী আন্দ্রেস ডোমেনিক ওইস জানান, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসে তিনি মুগ্ধ। বিশেষ করে এ দেশের গ্রামীণ অঞ্চলে ভ্রমণ তার অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করেছে। আন্দ্রেস একজন ফটোগ্রাফারও। তিনি মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের উপকারভোগীদের ছবি তুলেন এবং তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু ওহঃবৎহধঃরড়হধষ এর প্রতিনিধি দলের সাথে ছিলেন প্রধান কার্যালয়ের বিশেষ কর্মসূচি বিভাগের সমন্বয়কারী এসএমএ রকিব, মৌলিক স্বাস্থশিক্ষা প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান ও প্রশাসন বিভাগের ঊর্ধ্বতন অফিস ব্যবস্থাপক বিদ্যুত খোশনবীশ। রংপুর বিভাগের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাঈদুর রহমান রিপন, আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক বাহাদুর আলম এবং সংশ্লিষ্ট এলাকা ও শাখা ব্যবস্থাপকসহ বুরো বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই প্রতিনিধি দলের সাথে মাঠ পরিদর্শন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক স্বাস্থ্যশিক্ষা ও এর চর্চার মাধ্যমে গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে বুরো বাংলাদেশ ২০১৯ সাল থেকে অঁংঃৎধষরধহ অরফ এবং ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অঁংঃৎধষরধ-এর সহযোগিতায় মৌলিক স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু ওহঃবৎহধঃরড়হধষ এবৎসধহু এই কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত হয়। ইতিমধ্যে ৩৫২,৬৫৪টি পরিবারের কাছে মৌলিক স্বাস্থ্যশিক্ষা ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং ২২০,৮৮৩টি পরিবারের মাঝে কার্যক্রম চলমান আছে। প্রকল্পের আওতায় ৬টি বুরো কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে সাধারণ জনগোষ্ঠীকে সাশ্রয়ী মূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্য, রোগ নির্ণয় ও টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
এছাড়া ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ১ হাজার জন কিশোরীকে ২ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে যাতে তারা আরো কার্যকরভাবে ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা করতে পারেন এবং তাদের সমবয়সি কিশোরী ও নিকট আত্মীয়দের এ বিষয়ে সচেতন করতে পারেন।