গুলশান-২, ঢাকা, বাংলাদেশ   Friday,13 December 2024

শস্য বহুমুখীকরণে জালাল আলী সফল পানচাষি

about1

 

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের একজন দিনমজুর কৃষক মো. জালাল আলী। পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা জন। কৃষির সাথে তার সম্পৃক্ততা ১৫ বছর। নিজেস্ব  ১০ শতাংশ জমি বসতভিটা, বর্গা লিজ নেওয়া জমি ১৭৫ শতাংশ। ২০২০ সাল পর্যন্ত কাশেমপুর গ্রামের একজন দরিদ্র দিনমজুর কৃষক হিসেবেই পরিচিতি ছিলেন জালাল আলী। চাষাবাদ বলতে ধান, পান, সবজি ছাগল পালনÑ এই দিয়েই কোন রকম চলছিল সংসার নামক জীবন যুদ্ধ। চোখের সামনে অনেক কৃষক ধান, পান, সবজি, পেঁয়াজ জাতীয় ফসল চাষাবাদের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য বদলাতে সক্ষম হয়েছেন। কৃষির পরিভাষায় যার নাম শস্য বহুমুখীকরণ। অন্যের ভাগ্য পরিবর্তন দেখেছেন কিন্তু নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করবেন এর জন্য দরকার পুঁজি। কারণ ধান, পান, সবজি ছাগল পালন করতে পুঁজির যোগান লাগে বেশি, তাই ২০২০ সাল পর্যন্ত সাহস হয়নি ১৫ বছরের ছকবাঁধা চাষাবাদের বাইরে নতুন কিছু করার ইচ্ছা। সেই সময় ইচ্ছা পূরণে প্রতিবেশী বুরো বাংলাদেশ এর সদস্য এর পরামর্শ নিয়ে দুর্গাপুর শাখায় আসেন যদি কিছু টাকা ঋণ পাওয়া যায় এই আশায়।

শাখা ব্যবস্থাপক সবকিছু শোনার পর সিদ্ধান্ত নেন জালাল আলীর পাশে  দাঁড়ানোর এবং তাকে এসএমএপি প্রকল্পের সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে প্রথম ধাপে ঋণ প্রদান করা হয় ৫০ হাজার টাকা। জালাল আলীর স্বপ্ন পূরণের সঙ্গী হয় বুরো বাংলাদেশ।

 প্রথম ধাপে ঋণের টাকা দিয়ে ১০০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেন। ধান চাষে তার খরচ হয় ৪০ হাজার  টাকা, বিক্রির পরিমাণ ৭২ হাজার টাকা, নীট আয় ৩২ হাজার টাকা। জালাল আলী দিন বদলের যাত্রার শুরুটা এখান থেকেই। কারণ ফসল উৎপাদনে ফসলের বিভিন্ন রোগ পোকামাকড় দমনের জন্য বুরো বাংলাদেশ কারিগরি সহায়তা সেবা প্রদান করে। তিনি সফলভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করেন এবং লাভের টাকা দিয়ে একটি ছাগল ক্রয় সবজি চাষ করেন।

তিনি দ্বিতীয় ধাপে ঋণ গ্রহণ করেছেন লক্ষ টাকা, ঋণের টাকা দিয়ে পান চাষ করেন ৩৩ শতাংশ জমিতে, ধান সবজি চাষ করেন ১৪২ শতাংশ জমিতে। পান চাষে তার মোট খরচ লক্ষ ২০ হাজার  টাকা। তিনি আশা করেন, পানের বাজার ভাল থাকলে বিক্রির পরিমাণ হবে লক্ষ  টাকা। এছাড়াও তার  ছোট-বড় ৫টি ছাগল রয়েছে, ছাগলের  মূল্য ৪০-৫০ হাজার টাকা।

সঠিক পরিকল্পনা এবং ঋণের যথাযথ ব্যবহার যে কোন মানুষের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, একজন জালাল আলী তার প্রকৃত উদাহরণ।

 

মো. আব্দুর রহমান

আরপিও-কৃষি, এসএমএপি প্রকল্প, রাজশাহী অঞ্চল।

বুরো বাংলাদেশ